
কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
শমসের নেওয়াজ মুক্তা
“জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক’২৩’ বাছাই প্রতিযোগিতায় কক্সবাজার জেলার শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক(মহিলা) নির্বাচিত হয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফ্লা.লে.কাইমুল হুদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক শমসের নেওয়াজ মুক্তা।
গত ৬-ই সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদ হলরুমে এবং পরবর্তীতে জেলা পর্যায়ে ১৪ই সেপ্টেম্বর জেলা পরিষদ হলরুমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাঠদান, উদ্ভাবনী কৌশল, পাঠ প্রস্তুতি, মূল্যায়ন, সহ:শিক্ষাক্রমিক পারদর্শিতা, শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যালোচনা পূর্বক যাচাই-বাছাই করে জেলা পর্যায়েও তিনি শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হন।
তাঁর এই অর্জনে তাঁকে তাৎক্ষণিক অভিনন্দন জানিয়েছেন উপজেলা, জেলা ও সারা দেশের কর্মরত সকল শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ। তাঁর এই অর্জনে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তাঁর শিক্ষার্থীদের প্রতি, সহকর্মীদের প্রতি, যাঁরা তাঁকে যোগ্য হিসেবে নির্বাচন করেছেন তাঁদের প্রতি, যাঁদের সহযোগিতায় তাঁর এই পথচলা তাঁদের সকলের প্রতি, উপজেলা ও জেলা পদক বাছাই কমিটির প্রতি।
শমসের নেওয়াজ মুক্তার চাকুরিতে প্রথম যোগদান করেন ২০০৭ সালে। ২০১৪ এবং ২০১৯ সালেও জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার খেতাব অর্জন করেছিলেন গুণী এই শিক্ষক । অধিদপ্তর কর্তৃক সিলেক্টেড হয়ে ” শ্রীলংকা সফর”ও সম্পন্ন করে এসেছেন ২০১৬ সালে। শমসের নেওয়াজ মুক্তা শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বরাবরই অবদান রেখে চলেছেন নিজ কর্মক্ষেত্রে, উপজেলা এবং জেলায়। তিনি ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ’০৯ এ আন্তঃপিটিআই সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় কক্সবাজার জেলা হতে নজরুল সঙ্গীত ও লোকনৃত্যেও প্রথম স্থান অর্জন করে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন। এছাড়াও দ্বীপ উপজেলায় শিক্ষা ও চাকুরিতে অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন “জয়িতা’১৩ সম্মাননা। দ্বীপের সকল সীমাবদ্ধতাকে জয় করে নিজ উদ্যোগে করোনাকালীন প্রাথমিক শিক্ষায় অবদান রাখার জন্য আইসিটি ডিভিশনের এটুআই কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছেন কক্সবাজার জেলার প্রথম আইসিটি অ্যামবাসেডর(প্রাথমিক,২৯শে নভেম্বর’২০) হিসাবে।
এছাড়াও শিক্ষাদানে এবং ঝরে পড়া রোধকল্পে তিনি নতুন এক ধারা অব্যাহত রাখার প্রয়াসে নিত্য-নতুন উদ্ভাবনী নিয়ে কাজ করে এসেছেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় পেয়েছেন “সেরা উদ্ভাবক” স্বীকৃতি (১-মে’২৩)। অংশ নিয়েছেন বিভাগীয় “ইনোভেশন শোকেসিং’২৩” এ। দ্বীপের সকল প্রতিকূলতাকে জয় করে শিক্ষকতা পেশাকে ধারন করে তিনি এগিয়ে যেতে চেষ্টা করে চলেছেন অবিরত। অডিশন দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন বাংলাদেশ কভিড-১৯ স্কুল সেক্টর প্রকল্প ও ইউনিসেফ বাংলাদেশ কর্তৃক যৌথভাবে ডিজিটাল কন্টেন্ট উন্নয়ন ও টেলিভিশন পাঠদানে। ধারাবাহিক ওয়ার্কশপে মেধার স্বাক্ষর রেখে নির্বাচিত হয়েছেন স্ক্রিপ্ট রাইটিং ও সংসদ টেলিভিশনে পাঠদানের জন্য। তাঁর উপজেলায় তিনি প্রশিক্ষণ পরিচালনাতেও একজন মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে রেখে চলেছেন অগ্রণী ভূমিকা।
জানা যায়, মুক্তা শৈশব থেকেই সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে ছড়িয়েছেন তাঁর দ্যুতি। পেয়েছেন “শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী’৯৬” পুরষ্কার এবং “শ্রেষ্ঠ গার্লস গাইড”০২ পুরষ্কার। দ্বীপ উপজেলার সাংস্কৃতিক আবহে পরিবর্তনের ব্রতকে সামনে নিয়ে তিনি বর্তমানেও কুতুবদিয়া শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। দীর্ঘ সময় ধরে করে চলেছেন বিভিন্ন প্রোগ্রাম পরিচালনা ও উপস্থাপনা। তাঁর শিক্ষার্থীরাও উপজেলা, জেলা এবং বিভাগে রেখে চলেছে কৃতিত্বের স্বাক্ষর।
মুক্তা কুতুবদিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কুতুবদিয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো: আক্কাস উদ্দিন ও মরহুমা তাহমিনা খানম চৌধুরী এর প্রথমা কন্যা এবং কুতুবদিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক মো. শওকতুল ইসলামের সহধর্মিণী।
শমসের নেওয়াজ মুক্তা যেখানেই কাজ করেছেন, সেখানেই রেখেছেন তাঁর সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতার স্বাক্ষর। শিক্ষাক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তাঁর মেধা, দক্ষতা, মমতা ও সৃজনশীলতা দিয়ে তিনি গড়ে তুলছেন তাঁর পবিত্র শিক্ষার্থীদের, যা তাদের সুন্দর মানসিকতার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এবং ভবিষ্যতের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক হবে।
Posted ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিক্ষার আলো ডট কম | শিক্ষার আলো
আর্কাইভ
শনি | রবি | সোম | মঙ্গল | বুধ | বৃহ | শুক্র |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ২ | |||||
৩ | ৪ | ৫ | ৭ | ৮ | ৯ | |
১০ | ১১ | ১ | ১৩ | ৪ | ১৫ | ১৬ |
১ | ৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ |
২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২ | ৯ | ৩০ |
৩১ |